হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেটঃ সিলেটের বিয়ানীবাজারে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে একাধিক স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দুবাগ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যার পানির ভয়াবহতা বেশী। ইউনিয়নের একাধিক স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে। বিজিবি ক্যাম্প, হাট-বাজার ঝূকির মুখে।
পাহাড়ি ও ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অনেকের ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেকের গবাদি পশু ও পুকুর-খামারের মাছ। আকস্মিক বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ। এ অবস্থায় দিশেহারা ও আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে খুঁজে ছুটছেন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ।
আকস্মিক বন্যায় সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায়
বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত ৫টি ইউনিয়নে মোট ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ২০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আরো দূর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছেন। উপজেলার আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বেশীরভাগ এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম, অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জানান, সরকারি হিসেবে এখনো পর্যন্ত ৫ হাজার ৫শ’ লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। দূর্গত মানুষের সহায়তায় জন্য ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।