দিরাই প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নে
আদালতের আদেশ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে চার কেদারা বোর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
বিগত ৩১/১২/২৪ খৃষ্টাব্দে বিজ্ঞ অতিরিক্ত সুনামগঞ্জ জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালত দিরাই থানার কলিয়ারকাপন জেএল নং ১২৬ এর চার কেদারা জমির উপর ১৪৪ দ্বারা জারি করলে আদাতের নির্দেশ অমান্য করে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠে কলিয়ারকাপন গ্রামের মৃত ফখর উদ্দিন ছেলে এলাকার দাঙ্গাবাজ মোচ্ছাদ্দেক আহমেদও তার সংঘপাঙ্গদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৪২ বছর যাবত মিজানুর রহমান ছোবা মিয়ার ভগ্নিপতির খরিদকৃত জায়গা তারা আবাদ করে আসছেন। পেশী শক্তির বলে মোছাদ্দেক আহমদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা এ জমি দখল করতে মরিয়া উঠেছে। আদালত এ জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করলে আইনের প্রতি শ্রদ্বা রেখে মিজানুর ছোবা মিয়া ও তার ভাই সুজানুর রহমান সুফি এ জমি আবাদ না করে আদালতের সিদ্বান্তের অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু লাটিয়াল মোচ্ছাদ্দেক আদালতকে বৃদ্বা আঙ্গুলী দেখিয়ে রাত পোহাতেই তিনি এ জমিতে ধান রুপন করতে আসলে মিজানুর রহমান ছোবা’ মিয়া’র আত্মীয় স্বজন বাধা প্রদান করলে তিনি পেশী শক্তির বলে এ জমি তার বলে দাবি করেন। পরে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি স্থগিত থাকলেও মোচ্ছাদ্দেকের বিরুদ্ধে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে, যে আদালতের নির্দেশ অমান্য কারী কে এই মোচ্ছাদেক। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুমন চৌধুরী বলেন, আমার জীবনের প্রথম এতো বড় হেডাম ধারী লোক দেখেছি, যে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখল করে এর খুটির জোর যে কোথায় এখন ও বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি নাই। ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহ মোহাম্মদ আবু সাঈদ সুহেল প্রতিবেদককে বলেন, এলাকার যত সব দাঙ্গা হাঙ্গামা সব কিছুর অধিয়ানক মোচ্ছাদেক ও তার সহযোগী ফাহিম সহ তার বাহীনিরা। আমরা দেখে আসছি মিজানুর রহমান ছোবার ভগ্নিপতি এই জমির খরিদা সুত্রে মালিক। উনি প্রবাসে থাকায় ছোবা মিয়ারা এ জমি ৪২ বছর যাবত আবাদ করে আসছেন। মোচ্ছাদেক দুষ্কৃতি করে আইনী ভাবে বিভিন্ন ঝামেলা করলে এ জমির উপর ১৪৪ ধারা আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও মোচ্ছাদেক এর নেতৃত্বে সে উপস্থিত হয়ে সে আইনের প্রতি অসম্মান করে জমিতে ধানের ছারা রুপন করতে মরিয়া উঠে। সেই বাদী হয়ে আদালতকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করায় আবার সেই? ভঙ্গ করে আমাদের মাথায় আসেনি। সে এলাকার সমস্ত চোর ডাকাতদের সরদার দিরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মারামারিতে মোছাদ্দেক দেশী ও বিদেশি অস্ত্র পাচার করেন। তিনি অস্ত্রের বলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ জমি দখল করতে পায়তারা করছেন। সালিশ ব্যাক্তিত্ব হাজী আবু তাহের বলেন, এ জমির মালিক ছোবা মিয়ার ভগ্নিপতি। এ বিষয় নিয়ে আমরা সমোঝতার কথা বললে ছোবা মিয়া মানলেও মোচ্ছাদেক গ্রাম্য সালিশকে অমান্য করছেন। এব্যাপারে অভিযোক্ত মোছাদ্দেকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আদালত ১৪৪ ধারা জারি করলে ও আদালত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার রেকর্ডীয় জমি তাই আমি কাজ করতে গিয়েছি। মারামারি সম্ভাবনা দেখে আমি কাজ বন্ধ করে রেখেছি।
এব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিব।
এব্যাপারে উপজেলা এসিল্যান্ডের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
দিরাই প্রতিনিধি
তাং ১১/১/২৫