দিরাই প্রতিনিধি :দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ধল গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালনী নদীর তীরের ধলের মেলা নিয়ে শাহ আব্দুল করিমের একটি গান লিখে ছিলেন। শাহ আব্দুল করিমের গানের সাথে তাল মিলিয়ে এলাকার মানুষ দলে দলে মিলিত হয় ধলের মেলায়। প্রতি বছর মেলায় বাউল গান, সার্কাস বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজন হয় । প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী ধলের মেলা কে ঘিরে ভাটি এ জনপদে উৎসবে আমেজ শুরু হয় ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি ) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ধলের মেলা। একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউল শাহ আব্দুল করিমের স্মৃতি বিজরিত কালনী নদীর কূলে ঘিরে ভাটি ধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী ধলের মেলা। মেলার মাঠে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা রকমারী দোকান খোলে বসেন। মেলায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
জানা যায়, প্রায় আড়াইশত বছর আগে ভাটি ধল গ্রামের মাঠে একটি পরমেশ্বরী শিলা দেবীর দেখা যায়। এরপর থেকে এ শিলাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার ভেড়া, মহিষ বলি দিয়ে পূজা করতে থাকেন এবং ওইদিন মাঠে হরেক রকমের জিনিসপত্রের খেলনা সাজিয়ে বসেন দোকানীরা।
এদিকে ধলের মেলাকে কেন্দ্র করে তাড়ল ইউনিয়নের ভাটি ধল গ্রামের মেলার মাঠে সেজেছে নতুন সাজে। এ দিনটি এলাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দিরাই উপজেলার তাড়ল, কুলঞ্জ ও জগদল ইউনিয়নে এবং পার্শ্ববর্তী শাল্লা, নবীগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এ মেলার সাথে যুক্ত হয়। তাই মেলাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার প্রত্যেক ঘরে অতিথি আসতে শুরু করেছেন।
এ মেলার আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে বেল এবং কুইয়ার (ইক্ষু)। তবে দই মুড়ি এবং রসগোল্লা খেতে ভুল করেন না কেউ। এ মেলা নিয়ে শাহ আব্দুল করিম ‘ধলের মেলা’ নামে একটি বই লিখেছেন। শাহ আব্দুল করিম তাঁর এক গানে বলেছেন, ফাল্গুণে এসেছে ধলের মেলা, যাবি যদি আয় দলে দলে উঠেছে বেলা।
শাহ আব্দুল করিমের গানের সাথে তাল মিলিয়ে এলাকার মানুষ দলে দলে মিলিত হয় ধলের মেলায়। কালের পরিবর্তে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে এই মেলায়, প্রতি বছর উক্ত মেলায় যাত্রাগান, বাউল গান,, সার্কাসসহ বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজন করা হয় হত এখন আর এগুলো দেখা যায় না।