সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে এই প্রথমবার নাটকে অভিনয় করলেন সুনামগঞ্জের গণমাধ্যম কর্মী মোহাম্মদ নূর।
সম্প্রতি তরুণ লেখক খালেদ উসমানীর রচনা ও পরিচালনায় গোলাপির বিয়ে নাটকের দৃশ্য ইতিমধ্যে ধারণ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, এই নাটকে একজন সুন্দরী মেয়ে কিভাবে চা বিক্রি করে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন। তবে তিনি দেখতে অনেক সুন্দর হলেও চেহারা কালো করে রাখতেন খারাপ লোকের দৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে । তারপরেও গ্রামের দুষ্টু লোকদের দৃষ্টি থেকে রেহাই পেতেন না সেই গোলাপি । অবশেষে নাটকের অন্যতম চরিত্রে বাক প্রতিবন্ধী দিনমজুর রমজানের কপালে জুটবে সেই চা বিক্রেতা গোলাপি। অসংখ্য গল্প কাহিনী নিয়ে সাজানো হয়েছে এই নাটক।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান গণমাধ্যম কর্মী ও সংস্কৃতি অঙ্গনের খুবই পরিচিত মুখ, মোহাম্মদ নুরকেও দেখা মিলবে বিন্ন এক চরিত্রে, যেখানে তিনি সারাদিন ললিপপ, চকলেট খেয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামে । এক পর্যায়ে সবাই তাকে চকলেট মিলন নামেই ডাকে। নাটকে তিনি এক এনজিওর কর্মকর্তা মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় তবে লাজ শরমে বলতে পারেন না। তবে এরও এক সুন্দর অবসান ঘটবে এই নাটকে।
মোহাম্মদ নুর বলেন, আমার জীবনের এই প্রথম একজন গুণী মানুষের নাটকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এই নাটকের যাত্রা শুরু করে হয়তো ভবিষ্যতে আরো নাটক করার ইচ্ছা আমার মনে জেগে উঠেছে । এই নাটকে শুটিং করার সময় লক্ষ্য করেছি পরিচালকের অনেক দক্ষ ও মেধা শ্রম দিয়েও প্রচন্ড গরমেও তিনি কিভাবে আর্টিস্টদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আর নাটকে থাকা প্রত্যেক অভিনয় শিল্পীরা খুবই চমৎকার পারফরম্যান্স করেছে। তিনি আরও বলেন, এই নাটকের প্রত্যেকেই সিলেটের জনপ্রিয় মুখ তাঁরা খুব বিনয়ী ও অভিজ্ঞ যদিও তাদের মাঝে আমি একমাত্র নতুন ছিলাম। তাদের সহযোগিতায় ভালোবাসায় আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি।
নাটকের নির্মাতা খালেদ উসমানী বলেন, আমার লেখা ও নাটক নির্মানে সব সময় দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। এই নাটকেও প্রধান একটি চরিত্রে একটি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে গোলাপি’র জীবন সংগ্রাম নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই যারা এই নাটকে অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন আর্টিস্ট আমাকে সহযোগিতা করেছেন। যারা ক্যামেরায় ছিল, মেকআপ দিকনির্দেশনা ছিল সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এবং আমি আশাবাদী এই নাটক রিলিজ হওয়ার পরে লাখো মানুষের মন ছুয়ে যাবে।