ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নয়া লম্বাহাটি গ্রামে নৃশংস ও পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন সৌদি ফেরত যুবক হোসাইন আহমদ (৩৩)। দুর্বৃত্তরা তার দুই হাত ভেঙে দিয়েছে, এবং মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। প্রবাসে ফেরার স্বপ্ন ভেঙে গেছে, জীবিকা এখন গভীর অনিশ্চয়তায়।
স্থানীয়রা জানায়, মৃত মদরিছ আলীর ছেলে হোসাইন আহমদ চোখের চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। কিন্তু দেশে ফেরার পরই তিনি রক্তপিপাসু একটি চক্রের টার্গেটে পরিণত হন। এর আগে গত ঈদুল আযহার দিনে একই গ্রামের কুখ্যাত উলামালীগের কর্মী দুদু মিয়া ও তার সহযোগীরা হোসাইনের ভাগ্না আমির হোসাইন নাঈমের ওপরও হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় থানায় মামলা হয়।
বিগত ৭ জুলাই দুপুরে হোসাইন বাজারে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালায়। বেপরোয়া আক্রমণে তারা তার দুই হাত ভেঙে দেয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে, সঙ্গে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাটি এতটাই নির্মম ছিল যে, আশেপাশের মানুষ আতঙ্কে এগোতে সাহস পায়নি।
গত ৫ আগস্ট আহতের স্ত্রী মোছা: রেছমিনা বেগম ছাতক থানায় মামলা (নং-০৭) দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে প্রধান আসামি দুদু মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হলেও বাকি আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পরিবারের দাবি, হোসাইনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। এলাকাবাসী বলেন, “এরা মানুষরূপী নেকড়ে, যাদের হাত থেকে কেউ নিরাপদ নয়।” সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা দুদু মিয়া সামাজিক সংগঠনের টাকা আত্মসাৎকারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত এবং আলেম পরিচয় দিলেও সুদের মত জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত। দুদু মিয়ার সাথে অপরাপর অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।