মোঃ ইদু খান স্টাফ রিপোর্টার:
শিক্ষকতা কেবল একটি পেশা নয়, এটি একটি ব্রত। আর এই ব্রতের সফল রূপকার হলেন সেইসব শিক্ষক, যারা নিজেদের সবটুকু ভালোবাসা, জ্ঞান এবং মেধা শিশুদের জন্য উজাড় করে দেন। আজ থেকে ২৫ বছর আগে এমনই এক নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পা রেখেছিলেন।
দীর্ঘ এই পথচলায় তিনি শুধু পাঠ্যপুস্তক থেকে জ্ঞানই বিতরণ করেননি, বরং হাজারো শিশুর মনে শিক্ষার আলো জ্বেলেছেন।উনি শিখিয়েছেন,”শিক্ষকার উদ্দেশ্য ফল চাওয়া নয়,ফলতে চাওয়া” এবং মানুষের মতো মানুষ হওয়া। সমাজের সব সাতপাঁচ ভাবনা থেকে দূরে, এই শিক্ষকের একমাত্র ধ্যান ও জ্ঞান হলো শিশুর শিখন, যা তাঁর শিক্ষকতার ২৫ বছরের যাত্রাকে করেছে অর্থপূর্ণ ও সফল। নিজের ওপর তাঁর অগাধ বিশ্বাস এবং পেশার প্রতি গভীর আস্থা প্রমাণ করে, একজন আদর্শ শিক্ষকের আসল সম্পদ হলো তাঁর আত্মনিবেদন।
শিক্ষকতার ২৫ বছরের প্রথম দিনে তাঁর আত্মমূল্যায়ন ২০০০ সালের ২৪ মে দিরাই উপজেলার ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে তারাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক হিসাবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি রাড়ইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২৫ বছরে পদার্পণ করেন।
মোঃ জসীম উদ্দিন চৌধুরী সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জানি না শিক্ষকতার মত মহান পেশায় নিজেকে কতটা নিবেদিতপ্রাণ করতে পেরেছি,
তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না। এই পেশা আমাকে দিয়েছে অঢেল সম্মান। এই ২৫ বছরে অনেক আলোকিত মানুষের সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। অনেক বড় বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আমার সহকর্মী এমনকি শিক্ষার্থীদের নিকট হতেও অনেক শিখেছি। বর্তমানে আমি অবসরে আছি, এরপরও যে কয়টা দিন বেচে আছি শিখতে চাই আরো অনেক কিছু যেন নিজেকে কিছুটা হলেও সম্মৃদ্ধ করতে পারি। আমি সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করি, সবার জীবন যেন সফল ও সার্থক হয়।
অত্যন্ত সুনামের সহিত দীর্ঘ বর্ণাঢ্য চাকরি জীবন শেষে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সকল শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে অবসরে গেলেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার,দিরাই উপজেলার, কুলঞ্জ ইউনিয়নের, রাড়ইল গ্রামের কৃতি সন্তান, মোঃ জসীম উদ্দিন দীর্ঘ ২৫ বছর চাকরি করে তিনি অবসরে যান। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় পরিবারের সাথে সময় অতিবাহিত করছেন।