শাহ্ ফুজায়েল আহমদ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ–৩ (জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জ) আসনে আট দলীয় ইসলামপন্থী জোটের মনোনয়ন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং জোটের অভ্যন্তরীণ সমীকরণের জটিলতায় চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করতে দোটানায় পড়েছে জোট নেতৃত্ব।
ইতোমধ্যে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে সক্রিয়ভাবে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন সিলেট জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইয়াসিন খান।
গত ছয় মাসে জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জের পাড়া–মহল্লা, হাট–বাজারে গণসংযোগ, পথসভা এবং উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তিনি তৈরি করেছেন দৃশ্যমান জনভিত্তি। শুরুর দিকে ‘নতুন মুখ’ হওয়ায় কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও তাঁর ক্লিন ইমেজ, মার্জিত বক্তব্য এবং নিয়মিত প্রচারণা তাঁকে দ্রুতই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
কিন্তু যখন মাঠে অ্যাডভোকেট ইয়াসিন খান সুস্পষ্ট অবস্থান তৈরি করেছেন, তখনই জোটের অভ্যন্তরীণ হিসাব–নিকাশে মনোনয়ন নিয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। কারণ, ইসলামপন্থী আট দলীয় জোটে থাকা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ–৩ আসনে নিজেদের কোটায় প্রার্থী মনোনয়নের দাবি তুলেছে। দলটি শাহীনুর পাশাকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় নিতে জোটের শীর্ষ পর্যায়ে চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
তবে স্থানীয় জনমতে শাহীনুর পাশার অতীত রাজনৈতিক বিতর্ক ও তথাকথিত ‘ডামি’ নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থার বাতাবরণ তৈরি করেছে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ইসলামপন্থী জোট যেন পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য ইমেজের প্রার্থী নির্বাচন করে।
অন্যদিকে জোটের ভেতর একটি বড় অংশ মনে করছে, জনপ্রিয়তা, মাঠের পরিস্থিতি এবং গ্রহণযোগ্যতার বিচারে অ্যাডভোকেট ইয়াসিন খানই এগিয়ে আছেন এবং তিনিই হতে পারেন আট দলীয় জোটের বাস্তবসম্মত প্রার্থী।
এখনো জোট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করায় সুনামগঞ্জ–৩ আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা–কল্পনা বাড়ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন
শেষ পর্যন্ত কাকে বেছে নেবে আট দলীয় জোট?
মাঠে গ্রহণযোগ্য অ্যাডভোকেট ইয়াসিন খানকে, নাকি বিতর্কিত শাহীনুর পাশাকে?