গাজীপুর প্রতিনিধি ঃ
গাজীপুরে আওয়ামী যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম(৪০) এর ভয়ে বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ ঘরছাড়া অসহায় কসমেটিক্স ব্যবসায়ী মোঃ এন্তাজ আলী ও তার পরিবার। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন।
ভুক্তভোগী মোঃ এন্তাজ আলী সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া কয়রা বাজার মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে। বর্তমানে সে গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানা লক্ষ্মীপুরা এলাকার রোকন এর ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছে।
বুধবার বিকালে স্থানীয় একটি পত্রিকার অফিসে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে ভোক্তভোগী মোঃ এন্তাজ আলী বলেন, গাজীপুর মহানগরির ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবুল কাশেমের মেয়ের সাথে আমার ছেলের আমাদের অগোচরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ঘরে তুলে। একসময় তারা দুজনে ভালোবাসার টানে পরিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
তারই ধারাবাহিকতায় যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম ও তার সহযোগীরা আমাকে ধরে আমার চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করে থাকে, এসময় আমার ছোট মেয়ে মিম আক্তার(১৬)এগিয়ে আসলে তাকেও আবুল কাশেম জনসমক্ষে বেধড়ক মারপিট করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তারপর আবুল কাশেম ও তার সহযোগীরা আমাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে একটি অটোরিকশা তুলে ধান গবেষণার নির্জন কবরস্থানে নিয়ে আবারও অমানবিক ভাবে আমাকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ৪(চার)টি সাদা কাগজে জোরপূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তিতে জিএমপি সদর মেট্রোথানা পুলিশে সহযোগিতায় আমি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় অবস্থায় মারধরের বিষয় নিয়ে আমি যাতে কোন রকম বাড়াবাড়ি না করি এই মর্মে যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম হাসপাতালে এসে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে যায় এবং সে আমার ভাড়া বাসা ও দোকানে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এমতাবস্থায় আবুল কাশেমের ভয়ে আমি হাসপাতাল থেকে এই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই, সেখানেও গিয়ে আবুল কাশেম ও তার সহযোগীরা পুনরায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আমি ও আমার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি প্রশাসনের নিকট ন্যায়বিচার চাই। এ ঘটনায় ভোক্তভোগী মোঃ এন্তাজ আলীর স্ত্রী মোসাঃ মাফিয়া (৪২) বাদী হয়ে জিএমপি সদর মেট্রোথানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত আবুল কাশেম গাজীপুর মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে জিএমপি সদর-মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি প্রেম ভালোবাসা নিয়ে। থানায় আমরা একটি অভিযোগ পাই। পরবর্তিতে উভয়পক্ষ অভিযোগ করছে, তারা আমার কাছে আসছিল, তারা বলছে যে আমরা ছেলে মেয়েকে খুঁজতেছি। খুঁজে একটা সেটেলমেন্টে যাব। তিনি আরও বলেন, তারা যদি এ বিষয়ে মামলা করতে চায় আমরা মামলা নিবো এবং সম্পূর্ণ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।