1. ehiaahmedliton@gmail.com : Ehia Ahmed Liton : Ehia Ahmed Liton
  2. vatirkhantha@gmail.com : Vatir Khantha : Vatir Khantha
৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| বুধবার| রাত ৯:২৩|
শিরোনামঃ
বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে এড. নুরুল ইসলাম নুরুলে নেতৃত্বে জনতার মিছিল অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪ শ্রমিকের কারাদণ্ড দিরাইয়ে বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ ৩১ দফা কর্মসূচি প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে- দিরাইয়ে পাবেল চৌধুরী তারুণ্যের শক্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়াঁর লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে সাংবাদিকদের নিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক শাখার তারুণ্যে উৎসব চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন রাজিব চন্দ্র দাশ বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শাল্লায় মাদকসম্রাট আলী আজমসহ গ্রেফতার২ বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সিলেটে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় কর্মহীন লাখো শ্রমিক-ব্যাবসায়ী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় মঙ্গলবার, আগস্ট ২৬, ২০২৫,
  • 25 বার দেখা হয়েছে

রুবেল আহমেদ স্টাফ রিপোর্টার,সিলেট:

সিলেটে পাথর কোয়ারী বন্ধে কর্মহীন লাখো শ্রমিক-ব্যাবসায়ী। সারাদিন ঘুরেও মিলছে না বিকল্প কর্মক্ষেত্র। গোয়াইনঘাট, জৈন্তায় বালু,পাথর ছাড়া বিকল্প কোন কর্মসংস্থান নেই। অসহায় বার্কি শ্রমিক, দিনমজুর এবং ব্যাবসায়ীরা। হতাশায় গোয়াইনঘাটের হাজার হাজার শ্রমিক। বেকারত্বে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্বের আয়, সেই সাথে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান জড়িত সিলেটের সবক’টি পাথরকোয়ারীগুলো এবং সিলেটের স্থানীয় অর্থনীতির মজুবত ভিত্তি। সেই কোয়ারী গুলো বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের কতিপয় লুটেরা শিল্পগোষ্টির স্বার্থে। সেই বন্ধের অজুহা হিসেবে তোলা হয় পরিবেশ ধ্বংসের।

এদিকে সিলেট জেলার পাথর কোয়ারী দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায়, অত্র এলাকায় কোয়ারী সংশ্লিষ্ট শ্রমজীবী দিনমজুর কর্মসংস্থান হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধহারে দিনযাপন করছেন। কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় পাথর, বালু ও বারকি শ্রমিকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর বেলায় দেখা যায় দিনমজুর শ্রমিকদের বেলচা,টুকরি নিয়ে তীর্থের কাকের মত বসে থাকেন কাজের সন্ধানে। দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারী সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ ও শ্রীপুরসহ সব কয়টি এলাকায় কোয়ারী ও বালু মহালের সংশ্লিষ্ট কয়েক লক্ষ শ্রমিকের বর্তমানে ভয়ংকর চিত্র ধারন করেছে।

কোয়ারী ও বালু মহাল সচল থাকলে সরকার বাহাদূর রাজস্ব আদায়ের অবদান রাখতে পারবেন, তেমনি সিলেটসহ দেশের ২-৩ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে নিজের জীবন মান উন্নয়নসহ দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে আরো বেগবান করবে। শুধু পাথর, বালু ও বারকি শ্রমিক নয়, বেকায়দায় পড়েছেন এবার পাথর ব্যবসায়ীরাও, শেষ সম্বল টুকু ব্যাংকে মরগেজে রেখে করেছেন পাথর ভাঙ্গার ক্রাশর মিল কোয়ারী বন্ধ থাকায় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় পড়ছেন বিপাকে। হারাতে বসেছেন তার শেষ সম্বল টুকু, পাথর ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা বসে আছেন কোয়ারী খোলার । দীর্ঘ দিন থেকে কোয়ারী ও বালু মহাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পাথরের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হতে চলেছে জাফলং, ধূপাগুল, ভোলাগঞ্জসহ উত্তর সিলেটের ক্রাসিং জোন এলাকা। কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই সব ক্রাসার এলাকা শ্রমিক শূন্য হয়ে পড়েছে দিন দিন।

বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় এবং সংশ্লিষ্ট পেশা ছাড়া অন্য কোন পেশা জানা না থাকায় সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ এলাকার পাথর ও বালু শ্রমিক পরিবারে চরম অভাব-অনটনে দেখা দিচ্ছে । পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন হত দরিদ্র শ্রমিকেরা।

এছাড়াও ৫ই আগষ্ঠের আগে থেকে বর্তমান পর্যন্ত জাফলং ব্যাবসায়ী, বিছনাকান্দি ব্যাবসায়ী, ভোলাগঞ্জ ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং শ্রীপুর ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্থরের শ্রমিকেরা পাথর কোয়ারী সচলের দাবিতে পৃথক পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। বিভিন্ন মানববন্ধন কর্মসূচীতে শ্রমিকেরা ‘ভাত চাই না হলে কাজ চাই’ এই শ্লোগানে দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এদিকে ৫ই আগস্টের দিন থেকে শুরু করে কয়েক মাসে জাফলং ও ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর অসাধুদের জোগসাজসে ব্যাপক হারে লোট হওয়ার ঘটনায় বালু,পাথর উত্তোলন বন্ধে বর্তমান সরকারের কঠিন নির্দেশনা থাকায় কর্মহীনতায় ভোগছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক, ব্যাবসায়ীগণ। বিকল্প কর্মক্ষেত্র না থাকার ফলে বাড়ছে কর্মহীনতা আর বেকারত্বের হার।

সিলেটের পাথর সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে শ্রমিক ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায় বিশেষ করে গোয়াইনঘাট,জৈন্তাপুরে বালু পাথর ছাড়া বিকল্প কোন কর্মসংস্থান নেই। বালু পাথর উত্তোলনে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ শ্রমিক ব্যাবসায়ীদের জীবন জীবিকা নির্ভর করে। সিলেটে এসব বালু পাথর সংশ্লিষ্ট কোয়ারি বন্ধ থাকলে মানুষের জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে। দিনদিন মানুষের কর্মহীনতা আর বেকারত্ব বাড়ছে। বাড়ছে চুরি, ছিনতাই,ডাকাতি। সাধারণ শ্রমিক,দিনমজুর, ব্যাবসায়ী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সনাতন পদ্ধতিতে অতি শীঘ্রই বালু পাথর উত্তোলনের ব্যাবস্থা করে না দিলে কর্মহীনতায় ও বেকারত্বে মানুষের জীবন মানে চরম বিপর্যয় এবং অবক্ষয় দেখা দিবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে আপনার টাইম লাইনে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2024 VK24